এই মোচ্ছবের শহরে,শত শবের বহরে আমি নাই,আমার রোশনাই ঝিলিক মারে না লহরে লহরে ওই মদের নহরে, কিম্বা আজ শোনায় খাম্বাজ যে হীরা বাই, তার লালসার সুর আপ্লুত করে না এই হৃদয়পুর। এই রগড়ের নগরের নিদ্রাহীন ক্লেদে, বিভেদের সাপ খেলায় যে বেদে, যে নশ্বর কামনার অশ্বের খুরে,পাপের ধুলা আর হ্রেষা রব উড়ে, তার থেকে আমি বহু দূরে,অশোক-নিসিন্দার তলে আমার কবরে। অথচ প্রহর প্রহরএকদিন এ শহর কেঁপেছিল আমারই গ্রেনেডে, আমারই রক্ত সেঁচে নেচেছিল এ নগর মুক্তির সেরেনেডে। যে প্রেম এলঙ্গের মত হৃদয়ের ঘোলাজলে মেরেছিল ঘাই,তাই ফেলে নিমগ্ন রাইফেল হাতে ছুটেছি সমাগ্নিখাতে মুক্তির মাইফেলে। ওই টেঁসে যাওয়া লসিকার তেজ,ফাঁটা ব্রডগেজ, হিমার্ত ব্রাত্যর বাড়ি, আমারই শৌর্যের স্লেজে চড়ে সেজেছিল ঈসা খাঁর ঋজু তরবারি, ওই ধ্বসে পড়া ব্রিজ, বোনের সেমিজ আর লুণ্ঠিত মায়ের তমিজে গ্রন্থিত ছিল যেই বেহুলার ভিয়োলার সুর ,বারুদের বীজ, তার কোন জাদুর তাবিজ লখিন্দরের বেশে কালের ভেলায় ভেসে ভিড়বে কী শেষে এই ললিত ফলিত লিলুয়া বন্দরে ? আজও তাই মনের অন্দরে গহন দহনে ভাবি অহন অহন, এ নগর কোন্ দিন হবে তমোহর তারই মন্থনে, সাম্যের এষণায় যে শোনায় টান টান বাজুকার গান, ক্রোধের দাপটে রাজউকের প্লটে যে আনে অরাজক বিদ্রোহের বান।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
এই রগড়ের নগরের নিদ্রাহীন ক্লেদে, বিভেদের সাপ খেলায় যে বেদে,
যে নশ্বর কামনার অশ্বের খুরে,পাপের ধুলা আর হ্রেষা রব উড়ে,
তার থেকে আমি বহু দূরে,অশোক-নিসিন্দার তলে আমার কবরে।......// এশরার আপনার কবিতায় পরিপক্কতার ঘ্রাণ পেলাম .....খুব ভাল লেগেছে তবে আধুনিক আর পুরাতনের ফিউশানটায় আমার কাছে ভিন্ন স্বাদ পেলাম বলে আরো ভাল লেগেছে....অনেক শুভকামনা আপনাকে....
তাপসকিরণ রায়
কবিতাটি ভীষন ভালো লাগলো.এত দিন পড়তে পারিনি বলে আপসোস হচ্ছে.লেখার সাবলীলতা অনায়াসেই ধরা পড়ে.গদ্য কবিতার শব্দের পরস্পর বন্ধন বেশ মজবুত লেগেছ। অশেষ ধন্যবাদ জানাই কবিকে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।